জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রেরিত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল এন্ড কলেজ, বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সমন্বিত ক্লাস রুটিন অনুসরণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সেশন রুটিনের ছক (সাধারণ স্কুল-এক শিফট, সাধারণ স্কুল-দুই শিফট-সকাল, সাধারণ স্কুল-দুই শিফট-দুপুর) প্রকাশ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশনা ও রুটিনের ছক দেখতে এখানে ক্লিক করুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি…………
জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির সেশন রুটিন ছক (সাধারণ স্কুল-এক শিফট)
জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির সেশন রুটিন ছক (সাধারণ স্কুল-দুই শিফট-সকাল)
জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির সেশন রুটিন ছক (সাধারণ স্কুল-দুই শিফট-দুপুর)
মানতে হবে যেসব নির্দেশনাঃ
জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির সেশন রুটিন ছক (সাধারণ স্কুল-এক শিফট) সেশন রুটিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা।
১. ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২. অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।
৩. নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে।
৪. প্রথম থেকে তৃতীয় পিরিয়ড হবে ৬০ মিনিটের এবং চতুর্থ থেকে সপ্তম পিরিয়ড হবে ৫০ মিনিটের।
৫. প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী- শরীর চর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমন- গান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ, প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের সময় বাড়াতে হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয় শুরুর সময় এগিয়ে আনা যাবে। কিন্তু কোনোক্রমেই সেশনের সময় কমানো যাবে না।
৬. রুটিনে উল্লিখিত ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির কোনো বিষয়েই সেশন সংখ্যা বা ক্রম পরিবর্তন করা যাবে না।
৭. জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ শে মার্চ, ১লা বৈশাখ, ১লা মে, ১৫ আগস্ট, ১৬ ডিসেম্বর) শিখনকালীন কার্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় দিবসে রুটিন অনুসরণ না করে, দিবস পালনে বিভিন্ন বিষয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকগণ আগে থেকেই পরামর্শ করে শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবসের কার্যক্রম সাজাবেন। যেন দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা প্রয়োজন তা অর্জিত হয়।
৮. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণই শুধু ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির সেশন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। একটি শ্রেণির একটি বিষয়ে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে। একই শ্রেণির একই বিষয়ে
একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাকে সে বিষয়েরই সেশন/শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
দুই শিফট- সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সেশন রুটিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনাঃ
১. ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২. অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।
৩. নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে সপ্তম পিরিয়ডে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে।
৪. রোল কলের কারণে প্রথম পিরিয়ড হবে ৪৫ মিনিটের এবং বাকী পিরিয়ড হবে ৪০ মিনিটের।
৫. প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সঙ্গীত গাইবার ব্যবস্থা করবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শরীরচর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমন গান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ, প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে। এজন্য সমাবেশের সময় বাড়াতে হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয় শুরুর সময় এগিয়ে আনা যাবে। কিন্তু কোনোমতেই সেশনের সময় কমানো যাবে না।
৬. রুটিনে উল্লেখিত কোনো বিষয়েরই সেশন সংখ্যা বা ক্রম পরিবর্তন করা যাবে না।
৭. জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১ বৈশাখ, ১ মে, ১৫ আগস্ট, ১৬ ডিসেম্বর) শিখনকালীন কার্যক্রম হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। জাতীয় দিবসে সেশন রুটিন অনুসরণ না করে, দিবস পালনে বিভিন্ন বিষয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকগণ আগে থেকেই পরামর্শ করে শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবসের কার্যক্রম সাজাবেন। যাতে করে এসকল দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা প্রয়োজন তা অর্জিত হয়।
৮. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণই শুধু ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির সেশন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। একটি শ্রেণির একটি বিষয়ে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে। একই শ্রেণির একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাকে সে বিষয়েরই সেশন/শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি সহ শিক্ষা বিষয়ক আপডেট পেতে ডেইলি স্টাডি নিউজ ডট কম শিক্ষা বিষয়ক ব্লগের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন।
ডেইলি স্টাডি নিউজ ডট কম শিক্ষা বিষয়ক ব্লগের সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News অনুসরণ করুন।