সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ

(সরকারি মাধ্যমিক-১)

www.shed.gov.bd

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা

যে সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে:  সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।

২.  শিক্ষার্থীর বয়স : জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ বছর হতে হবে। পরবর্তী শ্রেণিসমূহে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। ভর্তির বয়সের উর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া যাবে।

৩. শিক্ষাবর্ষ : শিক্ষাবর্ষ হবে ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।

৪. ভর্তি কমিটি : সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য কমিটির গঠন

ক) ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি :

১. মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা —সভাপতি

২. চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা—সদস্য

৩. পরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা— সদস্য

৪. সিনিয়র সহকারী সচিব/উপসচিব, সরকারি মাধ্যমিক-১, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়—সদস্য

৫. জেলা প্রশাসক, ঢাকার একজন প্রতিনিধি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পর্যায়ের)—সদস্য

৬. উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা—সদস্য

৭. সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা—সদস্য

৮. বিদ্যালয় পরিদর্শক (ঢাকা অঞ্চল), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা— সদস্য

৯. বিদ্যালয় পরিদর্শিকা (ঢাকা অঞ্চল), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা—সদস্য

১০. ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকাগণ— সদস্য

১১. জেলা শিক্ষা অফিসার, ঢাকা—সদস্য

১২. উপপরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা—সদস্য-সচিব

খ) জেলা পর্যায়ে ভর্তি কমিটি :

১. . জেলা প্রশাসক—সভাপতি

২. সিভিল সার্জন—সভাপতি

৩. অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)—সভাপতি

৪. নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট জেলা—সদস্য

৫. উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সংশ্লিষ্ট জেলা সদর)—

৬. জেলা সদরের সবচেয়ে পুরনো সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি (সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের নীচে নয়)—সদস্য

৭. আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (সংশ্লিষ্ট জেলার ক্ষেত্রে) —সদস্য

৮. জেলা শিক্ষা অফিসার—সদস্য

৯. জেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকাগণ—সদস্য

১০. জেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা—সদস্য-সচিব

গ) উপজেলা পর্যায়ে ভর্তি কমিটি :

১. উপজেলা নির্বাহী অফিসার—সভাপতি

২. উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা—সদস্য

৩. উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার—সদস্য

৪. উপজেলাধীন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকাগণ—সদস্য

৫. উপজেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকা—সদস্য-সচিব

৫. ভর্তির তারিখ ও ফি নির্ধারণ :

৫.১ কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।

৫. ২ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

৬. ভর্তির জন্য আবেদন এবং শিক্ষার্থী নির্বাচন পদ্ধতি :

৬.১ ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’ কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী নির্ধারিত সফটওয়্যারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

৬.২ ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’ কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমুহের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করবে।

৬.৩ সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভর্তির আবেদন ও আবেদন ফি গ্রহণ এবং ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

৬.৪ ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের পূর্বে নির্বাচিত কারিগরি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সফটওয়ারের যথার্থতা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্য একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাচাই করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান শিক্ষার্থীর তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে।

৬.৫ ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে তালিকার ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকাশিত অপেক্ষমান তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।

৬.৬ শিক্ষাবর্ষের কোন সময়ে আসন শূন্য হলে প্রকাশিত অপেক্ষমান তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করে আসন পূরণ করতে হবে। এন্ট্রি/প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যে কোন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোন ধরণের পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।

৬.৭ ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’ ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করবে। উক্ত তালিকা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি কমিটি কাগজপত্র যাচাইপূর্বক নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৬.৮ ঢাকা মহানগরী ব্যতীত সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য ডিজিটাল লটারির বিষয়ে ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’ কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে।

৬.৯ ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’ ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি জাতীয় পত্রিকা/ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করবে।এছাড়া জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি/ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবে।

৬.১০ যৌক্তিক কোন কারণে সরকারি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করবে। তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

৭. আবেদনে বিদ্যালয় পছন্দক্রম : সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ০৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ০২টি পছন্দক্রম (০২ টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।

৮. শূন্য আসন নিরূপণ : প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বিভিন্ন শ্রেণির শূন্য আসনের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’ কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্ধারিত সফটওয়্যারে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি ভিত্তিক শূন্য আসনের সংখ্যাসহ অন্যান্য তথ্য আপলোড করবেন।

৯. ভর্তির আবেদন ও ফি : অনলাইনে ভর্তি আবেদন ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে গ্রহণ করতে হবে। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নং শিম/অডিট সেল/২৪৩/২০১১/৪৭৫ তারিখ : ০৬/০৭/২০১৪ অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদায় করা যাবে।

১০. ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান ও ফলাফল তৈরি :

১০.১ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশের যাবতীয় তথ্য ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’র নিকট প্রদান করবে।

১০.২ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’র সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

১০.৩ সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত তালিকার সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমান তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।

১০.৪ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি’র নিকট থেকে প্রাপ্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং নোটিশ বোর্ডেও টাঙিয়ে দিবে। কোন অবস্থাতেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকার বাইরে কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা যাবে না।

১১. সংরক্ষিত কোটাঃ

১১.১ ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সকল সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।

১১. ২ মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন . করতে হবে।

১১.৩ ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০% কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

১১.৪ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে ভর্তির সময় এতদসংক্রান্ত প্রমাণস্বরূপ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন দাখিল করতে হবে। উক্ত কোটায় কোন শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।

১১.৫  শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়,জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর সন্তান ভর্তির সময় তাঁর দপ্তর প্রধানের/নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

১১.৬ কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সকল সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোনের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোন দম্পতির মোট ০২ (দুই) সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

১২. শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করবে।

১৩. সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এক কর্মস্থল থেকে অন্য কর্মস্থলে বদলি হলে তাদের সন্তানদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেনঃ

(ক) ভর্তির জন্য প্রমাণকসহ ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর বদলির আদেশের তারিখ থেকে ১০ (দশ) মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

খ) সকল মহানগরী/সিটি কর্পোরেশন/বিভাগীয় শহরের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থল ১০ (দশ) কি: মি: (google map অনুযায়ী) এর অধিক হলে তাঁর সন্তান কর্মস্থলের নিকটতম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।

(গ) জেলা/উপজেলা/থানার ক্ষেত্রে বদলিকৃত কর্মস্থলের নিকটতম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তাঁর সন্তান ভর্তির সুযোগ পাবে।

(ঘ) বদলিজনিত কারণে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির জন্য শ্রেণি কক্ষে স্থান সংকুলান সাপেক্ষে প্রতি শ্রেণী শাখায় মোট আসনের ৫% অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত থাকবে।

চ) সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার পাবে।

(ছ) সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ তাঁর পূর্বতন কর্মস্থলে পুনরায় বদলি হয়ে আসলে তাঁদের সন্তানদের পূর্বতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় ভর্তির সুযোগ পাবে।

১৪. সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির আওতাধীন কোন শিক্ষার্থীকে একই শ্রেণিতে উভয় বিদ্যালয়ের সম্মতির ভিত্তিতে পারস্পরিক বদলি ভিত্তিক ভর্তি করা যাবে। এজন্য শিক্ষার্থী/অভিভাবক-কে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির সভাপতির নিকট আবেদন করতে হবে এবং এ নীতিমালার আলোকে উক্ত কমিটি ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১৫. সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মচারীগণের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে। শিক্ষক মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে নিকটতম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে নিকটতম সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১৬. কোন সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার সন্তান যে এলাকায় স্থায়ী হবে সে এলাকার সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবে। সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১৭. কোন সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী যার পিতা-মাতা নেই এমন শিক্ষার্থী কোন কারণে বাসস্থান। পরিবর্তন করলে পরিবর্তিত এলাকার সরকারি স্কুলে সে সমশ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১৮. সরকারি স্কুলে অধ্যয়নরত কোন শিক্ষার্থীর পিতা/মাতার মৃত্যুজনিত কারণে বর্তমান আবাস্থল স্থানান্তর করলে স্থানান্তরিত এলাকার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমশ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১৯. ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহ : শিক্ষার্থী ভর্তি ফি বাবদ প্রাপ্ত মোট টাকা হতে কারিগরি সহায়তা দানকারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তিমূল্য রেখে অবশিষ্ট টাকা নিম্নরুপভাবে বিভাজন করা হবে:

১৯.১ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশিষ্ট অর্থের ৮৫% পাবে। উক্ত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ যেমন বিজ্ঞপ্তি প্রচার, ভর্তির কাগজপত্রাদি যাচাই, ভর্তি বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভা, আপ্যায়নসহ বিদ্যালয়ে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মানী/পারিশ্রমিক, বিবিধ খরচ ইত্যাদির জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে এবং এ সংক্রান্ত ভাউচার সংরক্ষণ করবেন।

১৯.২ সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি অবশিষ্ট অর্থের ১০% পাবে। উক্ত অর্থ দিয়ে ভর্তি কমিটি ভর্তি বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভা, ভর্তি সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক কার্যক্রম, আপ্যায়নসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মানী/পারিশ্রমিক, বিবিধ খরচ ইত্যাদির জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে।

১৯.৩ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর অবশিষ্ট অর্থের ৫% (২+৩) পাবে। উক্ত অর্থ দিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর ভর্তি বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভা, ভর্তি সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক কার্যক্রম, পরিদর্শন, আপ্যায়নসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/পারিশ্রমিক, বিবিধ খরচ ইত্যাদির জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে।

২০. এ নীতিমালা প্রয়োগকালীন কোন অস্পষ্টতা/অসুবিধা পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক নিষ্পত্তি করতে হবে।

স্বাক্ষরিত/-

(সোলেমান খান)

সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

নিয়মিত শিক্ষা বিষয়ক সকল আপডেট পেতে ডেইলি স্টাডি নিউজ ডট কম শিক্ষা বিষয়ক ব্লগের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন।

ডেইলি স্টাডি নিউজ ডেইলি স্টাডি নিউজ ডট কম শিক্ষা বিষয়ক ব্লগের সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News অনুসরণ করুন।

5